“গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার দাবিতে” শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি।
সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সুমন মিয়া, দ্বীন ইসলাম, ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মাসুম, কেন্দ্রীয় সংগঠক গোলাম মোস্তফাসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, টেলিকম লাইসেন্স, রেগুলেটরি লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ২০১১, টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ২০১৮,ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন আইন ২০০১ অনুযায়ী গ্রামীণফোন লিমিটেড মানসম্মত ও নিরাপদ গ্রাহক সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিজস্ব গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ও নিজস্ব দক্ষ, দায়িত্বশীল ও সুশিক্ষিত জনবল তারা গ্রাহক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা।
কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফার লোভে জিপি নিজস্ব গ্রাহক সেবা কার্যক্রম বাতিল করে তৃতীয় পক্ষ ভেন্ডর এর মাধ্যমে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করছে। সারাদেশে তাদের ষোলটি গ্রামীণ সেন্টারের মধ্যে ১৪ টি বন্ধ করে দিয়েছে। অদক্ষ এর মাধ্যমে সিম বিক্রয় নিবন্ধনে ভুল, সিম জালিয়াতি, অপব্যবহার হতে শুরু করেছে। গ্রাহকদের গোপনীয় তথ্য প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করে নিরীহ জনগণকে হয়রানি ওমানের মধ্যে ফেলে দিয়েছে গ্রামীণফোন। অধমে প্রতিনিয়ত এ সংক্রান্ত খবর দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা গ্রামীণফোনের সাথে সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোও নিরাপদ নয় বলে আমরা মনে করি।
বক্তারা আরো বলেন, যে সকল অপরাধ গ্রামীণফোনের সেবা নিতে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা চাই। অনেক গ্রাহক এরইমধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে যে তাদের অনুমতি ছাড়াই সক্রিয় সিম অন্য বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী ৪৫০ দিন নিষ্ক্রিয় থাকার পরেই অপারেটর ঐশী মন্নত বিক্রি করতে পারে অন্যথায় নয়। কিন্তু গ্রামীণফোন এধরনের নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কাই করেনি। এই অপারেটরটি মানহীন সেবা ও সর্বোচ্চ সার্ভিস চার্জ নিলেও জনগণকে সেবার নামে তারা জিম্মি করে ফেলেছে। দোকানের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও গ্রাহকদের সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তা চাই অন্যত্র গ্রাহকদের নিরাপত্তায় ভার সম্পূর্ণরূপে সরকারকেই বহন করতে হবে।