গ্রামীণফোন ব্যবস্থাপনা পর্ষদ কর্মীদের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ২৬ ধারায় কোনো কারণ ছড়াই এক মেইলে চাকরিচ্যুত করা গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদ।
বুধবার সকালে জিপি হাউসে ইউনিয়ন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,ঘরের বাচ্চাকে আপনি খাবার দিচ্ছেন না কিন্তু এতিম খানা থেকে বাচ্চা নিয়ে আসার ইচ্ছা পোষণ করছেন। আমাদের ঘরের লোকজনের কারণে আজ থেকে ২০-২৫ বছর জিপি নেটওয়ার্ক, সেলস, রেভিনিউ ও মার্কেটে শেয়ারে নাম্বার ওয়ান। অথচ আজকে তাদেরকে বের করে দিয়ে দত্তক পুত্র ঘরে আনছে। ভাড়া করা লোক দিয়ে চাকরি করাতে যাচ্ছে। এক্সিটিং লোকের কাজ আউটসোর্স করে দিয়ে অন্যদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয় ন্যায় সঙ্গত নয়। এটা ইউনিয়ন মেনে নিতে পারে না।
জিপির এই ধরনের অন্যায়ের বিষয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানানো, ম্যানজমেন্টের কাছে প্রতিবাদ জানানো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ কারণেই গ্রামীণ ফোনের বর্তমান পরিচালনা বোর্ড এখন ইউনিয়নকে ঘায়েল করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শতাধিক কর্মীদের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেয়ার সময় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক ছাড়াও কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সকলেই জিপি হাউজের সামনে মানববন্ধন করে প্রতিকী প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদে সাধারণ কর্মীরাও অংশ নেন।
এদিকে অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জিপি হাউজে। প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের আইডি কার্ডের অ্যাক্সেস যাচাই করে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা।