দিনে প্রায় ৫০ হাজার নতুন সিম দরকার হয় গ্রামীণফোনের। অপরদিকে অপারেটরটির খুচরা সিম বিক্রেতা রয়েছে প্রায় ৪ লাখ। এমন পরিস্থিতিতে ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে গ্রামীণফোনের ঝুলিতে থাকা সিম। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির সিম বাজারে পেঁয়াজের মতো দশা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, তাদের হাতে যে পরিমাণ সিম আছে, তা নিয়ে সপ্তাহ দুয়েক চলবে। খুচরা পর্যায়ে যে সিম আছে। এগুলো আরও ছয় সপ্তাহ চলবে। অন্যদিকে বকেয়া পাওনা ইস্যুতে বিটিআরসির মাধ্যমে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ থাকায় বিপাকে রয়েছে অপারেটরটি। অন্যদিকে ১৫ মাসের বেশি সিম বন্ধ থাকায় প্রায় ৩০ লাখ সিমের অনুমোদন আটকে আছে।
আজমান জানান, তারপরও গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী সেবার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসাবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বির্নিমানের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পেীছে দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন গ্রামীণফোন সবসময়ই আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা পেীছে দেয়ার জন্য সরকার ও অংশীদারদের সাথে কাজ করে চলেছে যেন সমাজের সর্বোস্তরে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।