আজ ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ১৮তম জন্মদিন। কেক কেটে দিবসটিকে স্মরণ করেছেন বিটিআরসি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দিনটিকে আনন্দময় করতে তারা মিলিত হয়েছিলেন বনভোজনের উৎসবে।
তবে প্রতিষ্ঠার এই ১৮তম বছরটি বেশ চ্যালেঞ্জের সঙ্গেই পার করেছে সংস্থাটি। থ্রিজি-ফোরজি সেবা চালু করেও গ্রামীণ ও রবি’র কাছে বকেয়া পাওনা নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বছরটি পার করতে হয়েছে কমিশনকে। ফলে বছরজুড়েই নানা সংবাদ আর নতুন নতুন শাসন কার্যকর করতে দেখা গেছে কমিশনকে। সঙ্গত কারণে প্রতিষ্ঠার এই ১৮তম বছরটি ছিলো বিটিআরসি’র জন্য চ্যালেঞ্জের।
প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরে বিটিআরসি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, অপর্যাপ্ত জনবল, ভাড়া বাড়িতে অফিস করে আইনি সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে সময় মতো পলিসি, গাইডলাইন তৈরিতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে কমিশন।
আগামী বছর দুয়েক পর বিটিআরসি নিজস্ব ডেরায় উঠতে পারবে এবং আইনি সংশোধনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের গাইডেন্সের মধ্যে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এদিকে বিকেলে কমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে। সেই পোস্টের নিজে শুভ কামনা জানাচ্ছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, টেলিকম খাতকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে জাতীয় টেলিকম পলিসি প্রণয়ন করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর পর ২০০১ সালে (২০০১ সনের ১৮ নং আইন) গঠন করা হয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। পরের বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে বিটিআরসি। সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং ২০১০ সাল নাগাদ দেশের প্রতি ১০০’শ জন বাসিন্দার অন্তত ১০ জনকে টেলিযোগাযোগ সেবার অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাধীন কমিশন হিসেবে কাজ শুরু করে।
কিন্তু ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সংশোধনের মাধ্যমে বিটিআরসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়। ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন করে কমিশনের ক্ষমতা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেয়া হয়। এরপর থেকেই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজস্ব ভবন না থাকায় ঢাকার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনের তিনটি ফ্লোর ভাড়া করে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টেলিকম খাতের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, স্থগিত ও বাতিল, লাইসেন্স ফি ও ট্যারিফ নির্ধারণ, জরিমানা, শাস্তি এবং এসবের জন্য নীতিমালা তৈরি করছে।
তবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন ও মনিটরিং কাজ যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্মাণ করা হচ্ছে বিটিআরসি’র নিজস্ব ভবন (১২তলা)। নতুন জানবলও নিয়োগ করছে।