পরিকল্পনা মন্ত্রাণলয় থেকে অনুমোদন মিলেছে। এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে অর্থমন্ত্রণালয়ের ভেটিং এর জন্য। আর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সবুজ সঙ্কেত পেলে নতুন অর্থ-বছরে ঘুড়ে দাঁড়াবে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং পরিষেবাগুলিকে উন্নত করতে চলতি বছরের জুনে নতুন মাইলফলক রচনা করতে যাচ্ছে বেসরকারী খাতের প্রতিযোগীদের পরিষেবা সরবরাহের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকা এই অপারেটরটি।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। প্রকল্পের অধীনে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ অঞ্চল নিজেদের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে টেলিটক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, মোস্তফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা ইউএনবি।
এ বিষয়ে মোস্তফা জব্বার বলেছেন, “সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ত্রুটিগুলি সমাধান করতে এবং বেসরকারী অপারেটরদের সাথে যোগাযোগে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে। পুরো দেশকে টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘টেলিটক ৪জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এবং গ্রামাঞ্চলে ৪জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সারা দেশকে টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে। প্রকল্পটি ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (একনেক) কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৪৭ লক্ষ। ২০২০ সালের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ৭০ লক্ষ, ২০২১ সালের মধ্যে ১ কোটি, ২০২২ সালের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ২ কোটি করার লক্ষ্য রয়েছে।
টেলিটক প্রধান আরো জানান; নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ২০১৯-২০ সালে ৫,৮৫০ বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস), ২০২০-২১ সালে ৯,৫১০ বিটিএস, ২০২১-২২ সালে ১২,৫১০ বিটিএস, ২০২২-২৩ সালে ১৩,৩১০ বিটিএস এবং ২০২৩-২৪ সালে ১৫,৫১০ স্থাপন করতে সক্ষম হবেন।
টেলিটক কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ সালে ১ হাজার কোটি টাকার রেভিনিউ অর্জন করবে বলে জানান তিনি। সাহাব উদ্দিন আরও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ১৩শ কোটি টাকা অতিক্রম করবে।
টেলিটক ২০০৫ সালে ৬৪৩ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং পরে ২০০৮ সালে এটির নামকরণ করা হয় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। জিটুজি চীনা অর্থায়নে, টেলিটক ২০১৩-১৫ সালে ১৭শ কোটি টাকা ব্যায়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তাদের ২জি/৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে।

















