সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে ৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত ৪টি ফ্লোর। এর মধ্যে ৮ম তলায় অফিস করতেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় মো. নাহিদ ইসলাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই অফিসেই বৈঠক করতেন তিনি।
তবে বুধবার দিবগত রাতের আকষ্মিক আগুনে পুড়েছে তার কর্মস্থলটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুড়ে যাওয়া সেই অফিসটি পরিদর্শন করেন নাহিদ। এসময় তার চোখে-মুখে বিষণ্নতার ছাপ দেখা যায়। ভবন পরিদর্শন শেষে নিরবে স্থানটি ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে পরিদর্শনের সময় সচিবালয়ে ডিউটিতে থাকা কর্মকর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল রামেশ্বর, লিটন ও অন্য একজনের সঙ্গে রাতে আগুনের সূত্রপাত কখন হয়েছে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এদিকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ভবনে যেসব মন্ত্রণালয় আছে সেসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। পুরো বাংলাদেশে আপনাদের সাথে আছে।
তিনি আরো লেখেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের যারা চাটার দল ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম একটা অংশ এই আমলারা। এদের উপর ভর দিয়েই হাসিনা এই দেশে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। যখনই বিপ্লবীরা হাসিনার অপকর্ম, চুরি, লুটপাট, দুর্নীতির দিকে নজর দিয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তখনই সচিবালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইলগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে দিল। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনে যেসব চাটার দল এখনো ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে তাদের শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।