প্রশাসকের সঙ্গে আরও ৩ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবে বিটিআরসি

দীর্ঘ দিনের বকেয়া পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা আদায়ে গ্রামীণফোন ও রবি-তে প্রশাসক নিয়োগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি-কে অনুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এখন টেলিকমিউনিকেশন বিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিধি মেনেই প্রশাসককে সহায়তা করতে আরো ৩ জন বিশেষজ্ঞকেও নিয়োগ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অপারেটর দুটিতে প্রশাসক নিয়োগে সম্মতির চিঠিটি বিটিআরসি-কে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। সূত্রমতে,  প্রশাসকদের নিয়োগের আগে সংস্থা দুটির টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। আর সেক্ষেত্রে নিয়োগকৃত এই প্রশাসকরাই তখন অপারেটর দুটির টুজি ও থ্রিজি সেবা চালু রাখতে কাজ করবেন।

এদিকে প্রশাসক নিয়োগের চিঠিটিতে নীতিগত অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগে বিটিআরসি যে আবেদন করেছিলো আমি তা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। এখন বিটিআরসি তাদের পরবর্তী করণীয় অনুযায়ী এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই বিটিআরসি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবং এটা টেলিকমিউনিকেশন বিধি মেনেই করা হচ্ছে।

এর আগে বকেয়া পাওনা আদায়ে অপারেটর দুটিতে প্রশাসক বসানোর অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার ওই চিঠিটি টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়েছিল বিটিআরসি।

এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানিয়েছেন, অপারেটর দুটিসহ উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকেই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। একজন প্রশাসক ছাড়াও একইসঙ্গে আরো ৩ জনকে তার সঙ্গে নিয়োগ দেয়া হবে। এরা হবেন টেকনিক্যাল পার্সন। লিগ্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিন্যান্স সংস্ক্রান্ত বিষয়ে এই ৩জন প্রশাসককে সহযোগিতা করবেন।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ‘পাওনা’ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কেনো টুজি এবং থ্রিজি লাইসেন্স বাতিল করা হবে না মর্মে জিপি ও রবি-কে নোটিশ দেয় বিটিআরসি। জবাবে সংস্থা দুটি জানায়, বিটিআরসির নোটিশগুলো অবৈধ কেননা, এ বিষয়টি বিচারাধীন।

তবে কোম্পানি দুটির জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবি’র কাছে ৮৬৭.২৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করছে বিটিআরসি।

এদিকে একইদিন (বৃহস্পতিবার) পাওনা পরিশোধে নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে উচ্চ আদালত থেকে দুই মাসের সময় পেয়েছে গ্রামীণফোন।