বাংলাদেশে সরকারের আহ্বানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১০ দিনে ৬৭ শতাংশের বেশি কন্টেন্ট টেকডাউন করেছে টিকটক। তবে মাত্র ২০ শতাংশ ভিডিও অপসারণ করেছে ইউটিউব। একইসঙ্গে ফেসবুক ১৩ শতাংশ কন্টেন্ট টেকডাউন করেছে।
বুধবার এই তিনটি গিগটেক কোম্পানির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, টিকটক গত ১৪-২৪ জুলাই বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ভিডিও সরিয়েছে। আমাদের ৩০০ এর মতো রিকোয়েস্ট রেখেছে। রিসোর্স স্কেলআপ করে তারা নাশকতা ও উস্কানি দেয় এমন ৬৭ শতাংশের বেশি কন্টেন্ট তারা রিমুভ করেছে। ১৮ তারিখে তারা শতভাগ কন্টেন্ট মুছে ফেলেছে। অপরদিকে ইউটিউব রিপোর্ট করা ভিডিওর ২০ শতাংশ ডাউন করেছে। ফেসবুক’র যারা বাংলাদেশে ফ্যাক্ট চেক করে তারা বিশেষ মতাদর্শের। ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখে ফেসবুকে কী ধরনের সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং কোন কোন গাইড লাইন লঙ্ঘন করেছে সে বিষয়টি বৈঠকে আমরা তুলে ধরে দেখিয়েছি। কিন্তু রিপোর্ট করার পর মাত্র ১৩ শতাংশ কন্টেন্ট সরানো হয়েছে। বেশির ভাগই বহাল রয়েছে। এতে দেশে সংঘটিতর সহিংসতা ও ক্ষতির দায় তারা এড়াতে পারে না।

বৈঠকে সাজা ভোগে থাকা বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে তারেক জিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কোন কমিউনিটির অধীনে রয়েছেন সেই প্রশ্ন রাখা হয়। এছাড়াও অ্যাকাউন্ট বাতিলে ৫০ জনের একটি তালিকা ফেসবুককে দেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, সশরীরে টিকটক এশিয়া পলিসি হেড ফেরদৌস মুত্তাকিন, ফেসবুক এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পলিসি হেড সারিম আজিজ, বাংলাদেশ পলিসি লিড রুজ্যান সরোয়ার, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এক্সপার্ট জাস্টিন, কমপ্ল্যায়েন্স এন্ড রেগুলেশন এক্সপার্ট সুশংক শা, ল এনফোর্সমেন্ট এক্সপার্ট কৃষ্ণ, লিগ্যাল এক্সপার্ট নয়নতারা যোগ দেন। গতরাতে ইউটিবের পক্ষ থেকে মেইলে সময় চাওয়া হয়।
এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড মো মুস্তাফিজুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহামন, প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।
বৈঠক বিষয়ে জুনাইদ আহমদে পলক জানিয়েছেন, বৈঠক শেষে বিকেল থেকে সব সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।