গ্রামীণফোনের ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) শেষ হলো মোবাইল টাওয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও অপারেটরদের মধ্যে ‘সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট (এসএলএ)’ বৈঠক। টাওয়ার শেয়ার নিয়ে লেভেল প্লে গ্রাউন্ড তৈরি করতে রোববার (৬ অক্টোবর) এই বৈঠকের আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে বিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে গ্রামীণ ফোনের প্রতিনিধিরা। সোমবার তাদের অনুপস্থিতির মধ্য দিয়েই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটক ছাড়াও লাইসেন্স প্রাপ্ত ৪ টাওয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইডটকো, সামিট ও কীর্ত্তণখোলা প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠকে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং বাংলালিংকের চিফ রেগ্যুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান অংশ নেন।
এছাড়াও টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানি ইডটকোর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ডিরেক্টর সিরাজুস সালেহীন, সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আল ইসলাম এবং কীর্ত্তণখোলা টাওয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালামন করিমন বৈঠকে অংশ নেন।
অন্যদিকে বিটিআরসির বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার রেজাউল কাদের এবং সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কমিশনার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রমতে, বৈঠকে বাংলায় কথা বলতে আপত্তি তোলেন গ্রামীণফোনের পক্ষে অংশ নেয়া অপারেটরটির চিফ টেকনোলজি অফিসার রাদে কোভাসেভিচ ও চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার আল-আমিন। একপর্যায়ে গ্রামীণফোন বিটিআরসির এসএলএ গঠনের আইনগত অধিকার নেই জানিয়ে দেয়ার বৈঠক হতে ওয়াকআউট করেন তারা। সোমবারও তারা বৈঠকে যোগ না দেয়ায় বিস্মিত হয়েছেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টিকে অসৌজন্যমূলক এবং ব্যবসায় পরিবেশ বিনষ্টকারী ব্যবহার বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে বিটিআরসি’র মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন খান ডিজিবাংল-কে বলেন, তাদের আচরণের মাধ্যমে বিটিআরসি তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে। মূলত দুই পক্ষের মধ্যে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট বা এসএলএ চুক্তিটি নিয়ে একটি লেভেল প্লেয়িং অবস্থান তৈরি করতে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও তারা যে আচরণ করেছে তা শৃঙ্খলা বিরোধী। আমরা বিষয়টি গ্রামীণফোনকে জানাবো।