২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে জাপানের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের যাত্রা দুই-এক মাসের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে জাপানের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাপানের প্রযুক্তিখাত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করেছিল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বা তারও আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপান দূতাবাস ও জাইকা এক সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান চূড়ান্তভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাপানের সহযোগিতা করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া দেশের ডাক বিভাগকে আধুনিক করতে এবং সাইবার সিকিউরিটি বাড়াতেও জাপানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ আরও বাড়াতে দুই দেশের যৌথ আয়োজনে দ্রুত একটি সামিট করা হবে।
তিনি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও মানুষের কল্যাণে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মত বিনিময় করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতীম দু’টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক আইসিটি সেক্টরে জাপানের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স প্রোগ্রাম কর্মসূচির আওতায় কয়েকশত ইঞ্জিনিয়ার জাপানে কাজ করছে। কয়েক হাজার ছাত্র আইটি প্রোগ্রামে উর্ত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা, জাপান এবং ঢাকার বাইরের অনেক শহরে জাপানিজ কোম্পানিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে আইটি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে জাপান অন্যতম একটি গন্তব্য বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেন্ডাম অব কোঅপারেশনের আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতাতা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞানের আদান প্রদানের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাপান যৌথভাবে কাজ কার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে টেলিকম ও আইসিটি সেক্টরে অধিক জাপানিজ বিনিরয়োগ যাতে হয় সে বিষয়টি নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
জাপানে রপ্তানি বাড়ানো, টেলিটক এবং টেশিস এ বিনিয়োগের যে সুযোগ রয়েছে সুগুলোও বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পিপিপির আওতায় জাপানের ডাক ব্যাবস্থা আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের ডাকঘরের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহায়তা চেয়েছি বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জাপানি রাষ্টদূত বলেন, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করে যবো।
জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুউচি টমোহিদি এবং জেট্রোর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়ামাদা কাজুনুরি উপস্থিত ছিলেন।