সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন সামিট কমিউনিকেশনস-এর অধীনস্থ সামিট টাওয়ার্স-কে বাংলালিংক-এর ২ হাজার টাওয়ারের মালিকানা হস্তান্তর করছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এ লক্ষ্যে বুধবার উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝাতা চুক্তি হয়েছে।
ভিওন-এর গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু এবং সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফাদিয়া খানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম ও বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস।
চুক্তি নিয়ে ভিওন-এর গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু বলেন, “আমাদের বিভিন্ন মার্কেটে ভিওন-এর অপারেটরগুলি ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরিত হচ্ছে এবং অবকাঠামোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছে। আজকের এই চুক্তিটি বিশেষ এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধুমাত্র বাংলালিংক-এর জন্য নয়, সমগ্র দেশে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ডিজিটাল অপারেটর হিসাবে আমরা বাংলালিংক-এর মূল সেবাগুলির উপর মনোযোগ দিয়ে বিনোদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন গ্রাহক চাহিদা পূরণ করে যেতে পারবো।”
এছাড়াও বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, “বাংলালিংক সাফল্যের সাথে দেশজুড়ে বিস্তৃত ডিজিটাল অপারেটর হিসাবে এগিয়ে চলেছে। এর উন্নত ফোরজি সংযোগ এবং সেরা ডিজিটাল সেবা যেমন টফি ও মাইবিএল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সামিট টাওয়ার-এর সাথে এই চুক্তি আমাদেরকে ডিজিটাল সেবার উপর আরও গুরুত্ব দিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি দেশজুড়ে ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ ও দেশের জনসাধারণকে উন্নত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান বলেন, “এই কৌশলগত চুক্তিটির মাধ্যমে বাংলালিংক ও দেশের সবচেয়ে বড় ইনটেগ্রেটেড টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি সামিট-এর মধ্যে আরও বিস্তৃত সহযোগিতার সূচনা হল। ভবিষ্যতে আমাদেরকে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, ভিওন-এর সহায়তায় এই যৌথ উদ্যোগ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এই অঞ্চলে অনন্য উদাহরণও সৃষ্টি করবে। বাংলালিংক-এর সাথে আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে চাই।”
সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে সামিট টাওয়ার্স একটি অন্যতম টাওয়ার অপারেটর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েঠে। যাত্রা শুরু করার প্রথম ৫ বছরের মধ্যে আমাদের কোম্পানির টাওয়ারের সংখ্যা প্রায় ৪,৫০০-তে পৌঁছেছে। মানসম্মত সেবা দিয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি নিয়ে আসার পাশাপাশি আমরা উত্সাহী কর্মীদেরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। বাংলালিংক-এর সাথে সম্পর্ককে আমরা আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ও বিটিআরসি ২০১৮ সালে টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা প্রণয়ন করে। এর লক্ষ্য ছিল টেলিকম খাতে অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। বাংলালিংক এদেশের সর্বপ্রথম অপারেটর যারা এই গাইডলাইনটির সম্ভাবনা উপলব্ধি করে সামিটের সাথে পার্টনারশিপ করেছে।