গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কর্মী ছাঁটাই মামলার ‘শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ নিয়ে বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হলো ত্রি-পক্ষীয় সালিসি সভা। সকালে অধিদপ্তরের ‘সমঝোতা’ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শ্রম অধিদপ্তরে পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন ও শালিসি) এস এম এনামুল হক। সহকারী পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন শাখা) মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন) মাসুদা সুলতানা এবং গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (জিপিইইউ) পাঁচ জন প্রতিনিধি এবং দুই জন বিবাদী।
তবে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না হলেও বাদী পক্ষের বক্তব্য শোনেন শালিশ বোর্ড। এসময় গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, সহ সভাপতি রসুলুল আমিন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মাতুজ আলী কাদরী, সহ-সাধারন সম্পাদক ইমরুল কায়েছ উপস্থিত ছিলেন।
ভেতরে যখন সভা চলছিলো তখন বাইরে গ্রামীণফোনের বেশ কয়েকজন ছাঁটাই কর্মী উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে অংশ নেন ভুক্তভোগী শাহরীয়র মুরতজা এবং মিলন মন্ডল। এসময় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসাকে নৈতিক পরাজয় এবং আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা হিসেবে আখ্যা দেন উপস্থিত বিবাদীদের অনেকেই।
অপরদিকে শুনানি শেষে শ্রম অধিদপ্তরে পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন ও শালিসি) এস এম এনামুল হক বলেন, গ্রামীনফোনের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসেবে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম অধিদপ্তর এই শালিশস আহ্বান করেছিলো। এটা গ্রামীনফোন লিমিটেডের ১৮০জন কর্মীকে অবৈধভাবে লক আউটের প্রতিবাদে উত্থাপিত শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে আহুত প্রথম শালিসি সভা। এখানে তিন পক্ষের মধ্যে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে আবারো আমরা তাদের শালিসি সভায় ডাকবো। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের চিঠি দেয়া হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরবর্তি সালিস বৈঠকে সব পক্ষই উপস্থিত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।