বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশে হোটেল রয়েল এ অনুষ্ঠিত হলো ‘টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি সেবা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভোক্তার অধিকার শীর্ষক আলোচনা সভা। সভার উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও বিটিআরসির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মারগুব মোরশেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রযুক্তির পরিবর্তনও হচ্ছে। সেই ধারায় টেলিভিশনের পত্র-পত্রিকা বিজ্ঞাপনে দেখা যায়- সারাদেশে যেখানে যাবেন সেখানেই ফোরজি নেটওয়ার্ক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে টুজি সেবাও পাওয়া যায় না। গ্রামীণফোনের হঠাৎ করে ১৭ টাকার মেসেজ প্যাকেজ দাম বের হয়ে গেল ৭০ টাকা। এসব দেখার যেন কেউ নেই। কখন মূল্য বৃদ্ধি হলো, কিভাবে হলো তার কোন হদিস নেই। ইন্টারনেট প্যাকেজে চলছে তেলেসমাতি। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে যখন আমরা হিমশিম খাচ্ছি, তখন অনেক বড় বড় সিন্ডিকেট কিন্তু প্রযুক্তি সেবাতেও দেখেছি। রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না কেন হচ্ছে না সেটিও দেখার বিষয়। একটি অপারেটরের মামলার কারণে আমরা বক্তাদের এ সেবার সমস্যার সমাধান করতে পারছি না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ ডঃ মারগুব মোর্শেদ বলেন, গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন যেভাবে দীর্ঘ সময় কাজ করে যাচ্ছে; এর সাথে সরকারি বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসলে গ্রাহকের অধিকার রক্ষায় আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।
তিনি সংগঠনটিকে সবসময় বিটিআরসি-কে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সদস্য ডঃ এ কে এম রিয়াজুল হাসান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, বিপ্লবী ও আকাশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল ইসলাম, জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক। এ
ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহেদা বেগম, লায়ন সাব্বির রহমান। প্রমুখ, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির।
সভাপতির বক্তব্যের মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিগত ৯ টি বছর যাব গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই সেক্টরে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে যেভাবে প্রতারণা এবং অনিয়ম বৃদ্ধি পেয়েছে সেভাবে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কমিশন বা বক্তা অধিকার অধিদপ্তর সেভাবে ভূমিকা পালন করেনি। আগামী দিনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এবং পিটিআরসিকে গ্রাহক সমস্যা সমাধান এবং অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।