সমাবেশ চলার আগে থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একই অভিযোগ করে এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারি নির্দেশনায় অতি জরুরী মানবিক এবং নাগরিকের জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক অধিকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানে আমাদের নাগরিকদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ এবং সভা সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশের ন্যায় সভা সমাবেশ এবং স্বাধীন মতামত প্রকাশের পথ বন্ধ করতে ইন্টারনেট জরুরী পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। ইতিপূর্বে আরো ছয় বার বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বুধবার নয়াপল্টনে জনসভা কে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরানা পল্টন, কাকরাইল এমনকি মতিঝিল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
এতে আরো বলা হয়, ‘আজকের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, রাজধানীর বড় বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সচিবালয় রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের জরুরী কাজে ইন্টারনেট সেবা যেমন ব্যবহার করতে পারছে না ঠিক একই ভাবে সভা সমাবেশের সংবাদ গণমাধ্যম কর্মীরাও সরবরাহ করতে পারছে না। আমরা বলব, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা রাজনৈতিকভাবেই করবেন। নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করা একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিপন্থী। আগামী দিনে এ ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আরো যত্নবান হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
প্রসঙ্গত, আমেরিকা ভিত্তিক এক্সেস নাও ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের ইন্টারনেট সেবার যে বন্ধ করে রাখার তথ্য প্রদান করেছে তাতে ৩৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।