আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ সভান্তে পাবো। সুইডেনের স্টোকহোমে ১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এর আগে তার বাবা বায়োকেমিস্ট সুনে বার্গস্ট্রোমও নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসায় এ বছরের বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে বছরের প্রথম নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো।
এসময় নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান বলেন, ‘বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য সুডিশ বিজ্ঞানীকে ২০২২ সালের চিকিৎসাবিজ্ঞান অথবা শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।’
চলতি বছর ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই বছরের পুরস্কার কার্যক্রম শেষ হবে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেসময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা সনদ ও সোনার মেডেলসহ এক কোটি ক্রোনা বা নয় লাখ মার্কিন ডলার পেয়ে থাকেন।