রাশিয়ার অ্যাটমস্ত্রয়এক্সপোর্টের (রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটমের প্রকৌশল শাখা) উদ্যোগে ঈশ্বরদীতে দুই সপ্তাহব্যাপী বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ‘প্রেসাইজ অ্যানার্জি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এতে রূপপুর এনপিপি সংলগ্ন জেলাগুলোর এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন৷ গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের ওপর এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়৷
১২ জুন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড সম্পন্ন হয়েছে। এ অলিম্পিয়াডের সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রুশ জাতীয় পরমাণু গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়-মেফি।
রূপপুর প্রকল্পের পার্শবর্তী অঞ্চলগুলোর জন্য দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই অলিম্পিয়াড দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম ধাপে এক হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে তিন শতাধিক চূড়ান্ত ধাপে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিনিয়র গ্রুপে আলাদাভাবে আয়োজিত গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
ঈশ্বরদী ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীর জুনিয়র গ্রুপের জন্য বিষয় ছিল সাধারণ বিজ্ঞান।
প্রাথমিক ধাপে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত শিক্ষকরা পরীক্ষাপত্র যাচাইয়ের দায়িত্ব পালন করেন। চূড়ান্ত ধাপে রাশিয়ার মেফির চার জন শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সিনিয়র গ্রুপের ফাইনালিস্টদের মধ্য থেকে প্রতি বিষয়ে শীর্ষ ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। জুনিয়র গ্রুপের শীর্ষ ১০ জনের জন্যও ছিল এই পুরস্কার।
অলিম্পিয়াডে প্রথম স্থান অধিকারীরা হলেন- রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া তাসনীম (পদার্থবিদ্যা), কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌতম কুমার মণ্ডল (গণিত), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. নুরুল ইসলাম (রসায়ন) এবং জুনিয়র গ্রুপে ঈস্বরদী সরকারি কলেজের রেমেল শাহরিজা।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অ্যাটমস্ত্রয়এক্সপোর্টের কম্যুনিকেশন্স বিভাগের প্রধান নিনা দেমেন্তসোভা, রূপপুর এনপিপির সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, রসাটম দক্ষিণ এশিয়া অফিসের গণসংযোগ ব্যবস্থাপক সেনিয়া ইয়েলকিনা এবং মেফির সহযোগী অধ্যাপক আলেক্সান্ডার নাখাবভ।
রোসাটম কম্যুনিকেশন্স বিভাগের পরিচালক আন্দ্রেই চেরেমিসিনভ বলেন, সর্বাধুনিক নিরাপদ ও দক্ষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোসাটম শুধু স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই তৈরি করে না, আমরা পার্টনার দেশগুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতেও সহায়তা করে থাকি।
তিনি জানান, মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আমরা বাংলাদেশি পেশাদারদের রাশিয়ার শ্রেষ্ঠ পরমাণু প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়ে আসছি। দেশের ভবিষ্যৎ বিশেষজ্ঞদের তৈরিতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ।
