রাসায়নিক ও বিপজ্জনক পদার্থকে কোডিং করণ এবং আগুন নেভানোর কাজে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৭ জুন ২২) বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে প্রতিপাদ্য করে , “রাসায়নিক দূষণ ও দুর্ঘটনা রোধে করণীয়” শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রাসায়নিক দূর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বক্তারা বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে পণ্য সংরক্ষণ, পণ্য পরিবহন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “বন্দর ব্যবস্থাপনা ও ডিপো ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে রাসায়নিক ও বিপজ্জনক পদার্থকে কোডিং করণ, বিশেষায়িত জায়গায় নিরাপদ সংরক্ষণ, সতর্কতামূলক চিহ্ন প্রদান, অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক এবং বিজ্ঞান সম্মত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা অপরিহার্য। প্রতিটি সরকারি অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অগ্নি নির্বাপন, অগ্নিজনিত দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।”
এ লক্ষ্যে “বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ লক্ষ্যে দুটি পৃথক জলাধার সংরক্ষণ করছে, বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে আধুনিকায়ন করেছে এবং প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনারোধী প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে”- যোগ করেন বিজ্ঞান জাদুঘর মহাপরিচালক।
পরিবেশ চেতনা সমুন্নত রাখা, দূষণমুক্ত জীবন-যাপন, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং দূষণজনিত বিপর্যয় ও ক্ষয় ক্ষতি সম্পর্কে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আয়োজন করা হয় পরিবেশ অলিম্পিয়াড, পরিবেশ বিজ্ঞান বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি কলেজের ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক উপহার হিসেবে শিশুবৃক্ষ প্রদান করা হয় এবং উপহার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বাসা-বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বৃক্ষরোপণ এবং পাখীর খাবার প্রদানের জন্য উৎসাহিত করা হয়।