গত মার্চের পর থেকে এই প্রথম ভয়েজার ২ এর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে নাসা। একটি প্রধান প্রযুক্তি আপগ্রেডেশনের কারণে সেটি সম্ভব হয়েছে। খবর এনগ্যাজেট।
নাসা জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে অবস্থিত আপগ্রেডেড ডিপ স্পেস স্টেশন ৪৩ ডিস ব্যবহার করে গত ২৯ অক্টোবর প্রোবটিতে কমান্ড পাঠানো হয়। এই কমান্ডটি নতুন হার্ডওয়্যারের পরীক্ষার অংশ হিসেবেই পাঠানো হয়েছে, যে হার্ডওয়্যারের মধ্যে ভয়েজার ২ উন্মোচনের আগে অর্থাৎ ৪৭ বছর ধরে পরিবর্তন না করা রেডিও ট্রান্সমিটারও রয়েছে।
গত মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মিশন টিম ভয়েজারের স্ট্যাটাস আপডেট ও সায়েন্টিফিক ডেটা সংগ্রহ করতে পারলেও যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।
ডিএসএস৪৩ হলো দীর্ঘতম ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক যা চাঁদের থেকে বেশি দূরত্বে থাকা সকল স্পেসক্রাফটের সাথে যোগাযোগ নিশ্চিত করে যতদূর পর্যন্ত পৃথিবীকে দেখা যায়। এই ডিশটি হলো একমাত্র ডিশ যা ভয়েজার ২ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
বর্তমানে মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে ১১.৬ বিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে, যেখানে নর্দান হেমিস্ফেয়ার অ্যান্টেনা যোগাযোগ করতে পারে না। ডিএসএস৪৩ হলো একমাত্র সাউদার্ন হেমিস্ফেয়ার ডিশ যা কমান্ড পাঠানোর মতো শক্তিশালী।
নতুন হার্ডওয়্যার আপডেট ভয়েজার ২ এর বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিশটি চালু হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে রোভার অবতরণ করাবে নাসা, এই মিশনে ডিএসএস৪৩ প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া সামনের চন্দ্র মিশন, মঙ্গল অভিযানসহ বিভিন্ন মিশনে অনেক ভূমিকা থাকবে নতুন ডিশটির।
ডিবিটেক/বিএমটি