নিরাপদ সড়ক ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্রযুক্তি দিয়ে ইন্দোনেশিয়া জয় করলো বাংলাদেশ। সেখানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড ইনোভেটিভ সায়েন্স সায়েন্স প্রোজেক্ট অলিম্পিয়াডের (উইসপো) এবারের আসরে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ালো দুই কিশোর। রাজশাহীর কামরুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো: ত্ব – সীন ইলাহি এবং ঢাকার সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের জাবীর দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাবীর জারিফ আখতার।
ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দেশেটির সায়েন্টিফিক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বেনডংয়ে ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিজ্ঞান-উদ্ভাবনের এই বৈশ্বিক আসরে বিশ্বের ৩০টি দেশে থেকে অংশ নেয় সহস্রাধিক প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পতাকা বহন করে আইস্পার্ক ও হাইড্রো প্লাক্সমা এক্স। প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৪৫টি দলকে পেছনে ফেলে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিভাগে আইস্পার্ক এর অরাগার্ড স্বর্ণ পদক জয় করে। এছাড়াও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে রৌপ্য জয় করে হাইড্রো প্লাক্সমা এক্স। স্বর্ণজয়ী আইস্পার্ক প্রকল্পটির উদ্ভাবক মো: ত্ব – সীন ইলাহি। আর হাইড্রো প্লাক্সমা এক্স উদ্ভাবক জাবীর জারিফ আখতার।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে প্রতিযোগিতা ফলাফল ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়া সায়েন্টিফিক সোসাইটি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টিম স্পার্ক দেখিয়েছে, প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যায়। উপস্থানায় তারা একটি বিশেষ ডিভাইস বানিয়ে দেখায়। ডিভাইসটিতে একটি সিপিইউ, ট্যাবলেট, টেকোমিটার, ক্যামেরা, ভাইব্রেটর ও লিডার ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইসটি মূলত অনেকগুলো সেন্সর একসাথে ইন্টিগ্রেট করে, এবং সিপিইউ সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয় এবং ড্রাইভারকে রক্ষা করে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্টস অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ড্রাইভার দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ভুলের সমাধান প্রদান করে এবং সড়কে সবাইকে নিরাপদ রাখে।
অপরদিকে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র এটা ছোট একটা কলমের সমান ডিভাইস। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে মূলত পানিতে হাই ভোল্টেজ দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করা হয়।