রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ‘বাংলাদেশ এনার্জি প্রোসপারিটি ২০৫০’ সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে সম্মেলনে সব মিলিয়ে মোট ১২টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেসনগুলোতে জ্বালানি নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন, পরিবেশবাদী সংগঠন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী সেশনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবছরই সবচেয়ে উষ্ণতম আবহাওয়া নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করছেন জলবায়ুবিজ্ঞানীরা। একইসঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে’ নীতির আওতায় আনার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করছে বক্তারা। আলোচানায় উঠে এসেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি; স্বাধীন গণতদন্ত কমিশন গঠন করা; প্রাথমিক পরিবেশগত নীরিক্ষা (আইইই) ও পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন (ইআইএ) উন্মুক্ত এবং বাধ্যতামূলক করার বিষয়ও।
প্রকৃতির শক্তি ও আগামীর প্রত্যাশা প্রত্যয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির। উদ্বোধনী বক্তব্যে সোলার বিদ্যুতের ক্ষেত্র ইনভার্টার, ক্যাবলসহ অন্যান্য বিষয়ে গুণগত মান যেন নিশ্চিত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান জ্বালানী উপদেষ্টা।
নবায়ন যোগ্য জ্বালানী শক্তিতে বেসরকারি কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসায় আগামীতে তাদের জন্য সরকারি জমি বন্দোবস্তের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি বলেন, বিদ্যুতে আমাদের অনেক সঞ্চালন লাইন রয়েছে। এজন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বড় আকারে যাওয়ার জন্য আমাদের সরকার, পাওয়ার ডিভিশন, অর্থনৈতিকভাবে আমরা প্রস্তুত নই। আগামীতে আমরা (সরকার) জমি দেবো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য। রেলওয়েসহ সরকারি অনেক অব্যবহাহৃত জমি আছে সেগুলো আমরা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি।