ভারত জয়ের পর এবার আগুন নেভানো রোবট দিয়ে মালোয়েশিয়া জয় করলো বাংলাদেশের তরুণ রোবটিক দল ‘টিম অ্যাটলাস’। ইন্দোনেশিয়া ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়ার মাহশা ইউনিভার্সিটির আয়োজনে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৩ (ডব্লিউআইসিই)–এর প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরে আইটি অ্যান্ড রোবোটিকস বিভাগে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জিতেছে টিম অ্যাটলাসের ফায়ার ডিফেন্ডার।
সরাসরি আগুনের উৎস খুঁজে বের করে নেভানোর চেষ্টা করে নতুন উদ্ভাবিত এই রোবটটি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও রিমোট দু’ভাবেই নিয়োন্ত্রণ করা যায় এটি। আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোববটি প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণও পৌঁছে দেয় আগুনে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাপূর্ণ বদ্ধ জায়গা থেকে কার্বন মনক্সাইডযুক্ত বিষাক্ত ধোঁয়া টিউবের মাধ্যমে বাইরে বের করে দিতে রোবটটিতে যুক্ত আছে স্মোক ভ্যাকুয়াম। রোবটটি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে নির্মিত এবং প্রায় ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন টিম অ্যাটলাস দলনেতা সানি জুবায়ের।
পুরস্কার জয়ী রোবট বানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী এই দলে কাজ করছেন। দলটির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত হাইব্রিড পদ্ধতিতে ২২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর—২০টি দেশের চার শতাধিক দল প্রতিযোগিতার পাঁচটি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৩ (ডব্লিউআইসিই)–এ।ডব্লিউআইসিইতে অংশ নেওয়া টিম অ্যাটলাসের সদস্যরা হলেন সানি জুবায়ের (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), শিহাব আহমেদ (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), ফাহিম শাহরিয়ার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মেহরাব ইসলাম (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি) ও মেহরান ইসলাম (বিএএফ শাহীন কলেজ)। অনলাইনের মাধ্যমে দলকে সহযোগিতা করেছেন সাকিবুল আহসান (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি) ও সানজিদা সিদ্দিকা (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।