স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই স্মার্ট নাগরিক। সেই লক্ষ্যে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ কোডার গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আইসিটি বিভাগ। লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার কিশোর ও যুব বেকারকে ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং ও প্রোগ্রামিং শেখাবে কোডার্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার আইসিটি অধিদপ্তরের সম্মেলন কেন্দ্রে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও কোডার ট্রাস্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদের উপস্থিতিতে চুক্তিতে দুইটি চুক্তি হয়। কোডাট্রাস্টের সঙ্গে সম্পাদিত দুইটি চুক্তিতে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তাফা কামাল, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং কোডারট্রাস্ট সিইও শামসুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এর আগে চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সবাইকে ‘কোডিং বিপ্লব’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক সাংবাদিক ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে হাইটেক পার্কগুলোতে কোডার ট্রাস্ট ১০ হাজার তরুণকে ফ্রি কোডিং শেখাবে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ সারা দেশের নির্বাচিত ১৩টি উপজেলায় ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর কিশোরীদের প্রোগ্রামীং এবং কোডিং প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে আইসিটি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাস্টার ট্রেইনার জিসেবে প্রস্তুত করা হবে।
বক্তব্যে চলতি বছরেই আরো পঁচটি জেলায় হাইটেক পার্কের কাজ শেষ হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ, নাটোরের সিংড়া, চট্টগ্রাম নগরী, নেত্রকোন ও মাগুরা। ৩৫ হাজার বর্গমিটার জায়গার এসব পার্কের একটি ফ্লোরে ইনকিউবেশন, একটিতে ট্রেনিং, অন্যগুলোতে স্টার্টআপ, প্লাগ অ্যান্ড প্লে ও বিজনেস স্পেস থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতিতে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এই প্রযুক্তির শিল্পকে একটা শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন। সেই ভিত্তিতে এবার ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর ফলে কোডার্সট্রাস্ট আরো ঐ সকল সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষনার্থীরা প্রযুক্তি জ্ঞান আহরন করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতিও হবে স্মার্ট।
চুক্তি শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) প্রকল্পের মাস্টারপ্লানসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে মত বিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর উদ্যোগে ২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বেসিস সফট এক্সপো আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পৃথক বৈঠক। বৈঠকে অংশ নেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।