মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভেঞ্ছার ক্যাপিটাল কোম্পানির কর্পোরেট কার্যালয়ে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সভাপতিত্ব করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের বোর্ড এর চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন চালডাল লিমিটেড এর সিইও ওয়াসিম আলিম, মনের বন্ধুর সিইও তাওহিদা শিরোপা প্রমুখ।
এসময় কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর সদস্য সমন্বয় ও সংস্কার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মোঃ শামসুল আরেফিন; বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক জনাব রণজিৎ কুমার, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান সহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলে স্টার্টআপ বাংলাদেশের পোর্টফলিও কোম্পানিগুলোর ফাউনডার ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তারা।
সভায় মূল বক্তার বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “আমাদের আজকের যে উন্নয়নের চিত্র তার শুরু হয়েছিল সেই ৬ দফা আন্দোলনের সময় থেকেই। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মানবকেন্দ্রিক উন্নয়নের শুরু করেছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে। সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে জিডিপি এর বৃদ্ধি হলেই হবে না এর সাথে দরকার জিডিপি এর সমবিভাজন। তাহলেই আগামী তে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।”
সভাপতির বক্তব্যে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কাজ করে চলেছে। স্টার্টআপের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সামি আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত বাংলাদেশের জিডিপিতে পাঁচ শতাংশ অবদান রাখবে। করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সুফল পেয়েছে সাধারণ মানুষ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিকাশ ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই সে লক্ষ্যেই উদ্ভাবনী প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ।