সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তাবয়ান সম্ভব হয়েছে একইভাবে গ্রামকে শহরে রূপান্তরের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
বুধবার ই-গভর্নেন্স বিধানাবলি সংকলন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন দৃঢ়তার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ইশতেহার থেকে ৩টি বিষয়কে আইসিটি বিভাগ বাতিঘর হিসেবে মূল্যায়ণ করছে। এর অন্যতম আমার গ্রাম আমার শহর। এর অর্থ গ্রামে বড় বড় বিল্ডিং করা নয়, গ্রামে শহরের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা। যার সুফল আমরা এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে তারুণ্যের শক্তি। আমাদের আইসিটি বিভাগের সকল কার্যক্রমে তারুণ্যকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সুশান। কেননা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তখনই বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলাদেশ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রাকে বিশ্লেষণ করে পলক আরো বলেন, ‘যেভাবে আমরা গত ১২ বছরে এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়েছি, এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হবো। যেভাবে আমরা লেবার বেজড ইকনোমি থেকে ডিজিটাল ইকনোমিতে এসেছি, এরপরে আমরা পরবর্তী ২০ বছরে ৪১ সালে নলেজ বেজড ইকোনোমি হতে চাই। আমরা একটা ইনোভেটিভ নেশন হতে চাই। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চাই। যেখানে স্মার্ট ফার্মিং, স্মার্ট এড্যুকেশন, স্মার্ট বিল্ডিং, স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট, স্মার্ট সিটি- এগুলোকে কনসিডারে আনতে চাই। কেননা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১২ হাজার ডলার হবে পার ক্যাপিটা ইনকাম। সেখানে কৃষি বা শ্রম নির্ভরতা থেকে অর্জন কঠিন। তাই এখন থেকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগুলোকে আয়ত্তে নিতে হবে।’
আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমীন, সংকলন কমিটির সদস্য শিরিন শবনম এবং বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোট ৮টি কৌশল পত্র, ১৬টি নির্দেশিকা, ৩০টি পরিপত্র ও অফিস স্বারক, ৮টি বিধিমালা এবং ১৫টি আইন সংকলন নিয়ে প্রকাশিত হয় ই-গভর্নেন্স বিধানাবলী বইটি। এই বইতে স্থান পেয়েছে অ্যানলগ প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সেবামুখী ডিজিটাল প্রশাসনের রূপান্তরের বিভিন্ন আইন ও বিধানাবলি।