করোনা মহামারীতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কার্যকারী ভূমিকা রেখেছে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং স্টার্টআপ।
বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত স্টার্টআপভিত্তিক অ্যাক্সিলেটর প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, করোনার সময়ে প্রতিক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে।
বর্তমান সরকার দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এর ফলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করেআইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পা দেবে।
অ্যাক্সিলেটর প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ভালো সোশ্যাল ইন্টারপ্রাইজ, ফান্ডফিনা, মাইক্যাশ, স্বাধীন, ডব্লিউএইচআরআরএল, অ্যাগ্রো সাপ্লাই, বোরলাগ, ফালমিংগো ফুড ,ফোর ফার্মিং এবং নাফিয়া ফার্মারস মার্কেট।
স্বাগতিক বক্তব্যে তুরষ্কের অ্যাম্বাসেডর অ্যাসেন আলটু জানান, চলমান মহামারীতে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবনী চিন্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিযোগীতায় জয়ী দলগুলোর উদ্ভাবনী ভাবনা বাংলাদেশ ও উগান্ডায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তুরষ্কের বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং ইইউ বিষয়ক পরিচালক ফারুক কায়ম্যাকসি, উগান্ডার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রী ড. মনিকা মুসেনেরো, ইউএনডিপির তুরস্কের আবাসিক প্রতিনিধি লুইসা ভিটন এবং ইউএন টেকনোলজি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোশুয়া সেতিপা।
অন্যান্য দেশের মতো উগান্ডা কৃষিক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী পদক্ষেপ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন উগান্ডার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রী ড. মনিকা মুসেনেরো।
অ্যাক্সিলেটর প্রোগ্রামে চার স্টার্টআপকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীন ও ভালো সোশ্যাল ইন্টারপ্রাইজ এবং উগান্ডার ফালমিংগো ফুড ও নাফিয়া ফার্মারস মার্কেট।