গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নের দিকে থাকলেও মার্চ থেকে ফের বাড়তে শুরু করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
এতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি খাত। এর মধ্যে রয়েছেন অনলাইনে চাকরি আবেদন পূরণের সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবী থেকে শুরু করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস বেচাকেনা সংশ্লিষ্টরা।
তাদের ভাষ্য, গতবছরের লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেননি তারা। এর মধ্যে ফের লকডাউনের কবলে পরতে যাচ্ছে দেশ। আসন্ন লকডাউনকে ঘিরে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর জানান, করোনায় কম্পিউটার বা ডিজিটাল যন্ত্রাংশের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন দেশে মানুষ। গতবছরের লকডাউনের ক্ষতি এবছরও পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না যদি সরকার আইটি পণ্যকে জরুরি পণ্য হিসেবে ঘোষণা না দেয়।
তিনি আরও জানান, আইটি পণ্যকে জরুরি পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি আইটি যন্ত্রাংশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবা জরুরি সেবার আওতায় নিয়ে আসলে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করা সম্ভব হবে।
আইটি পণ্যের পাশাপাশি দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদার অংশ হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট সেবা। ইন্টারনেট সেবা সংশ্লিষ্ট খাতকে জরুরি সেবার আওতায় নিয়ে আসা হলেও আসন্ন লকডাউন নিয়ে চিন্তিত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খাত সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের প্রতিনিয়ত চলাফেরা করতে হবে। তাদের জন্য সরকারের বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্যাকসিনের আবেদন করা হলেও মেলেনি আশারূনুপ ফলাফল।