ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনের প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ। সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে তিন দিন ধরে চলবে ব্লক চেইন সম্মেলন ও প্রদর্শনী। দুপুর থেকে চলছে নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা সভা ও সেমিনার। ভার্চুয়াল মাধ্যমেও এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিতে পারছেন আগ্রহীরা।
বৃহস্পতিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগামী প্রজন্ম যেন বিশ্বের পিছিয়ে না থাকে সে জন্য এই ধরনের উদ্যোগে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে ৫-১০ বছর পরে যে প্রযুক্তিগুলো বিশ্বকে পরিবর্তন করে দেবে, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হিসেবে দেখা দেবে, সেগুলোকে আমরা এখনি আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ প্রজন্মকে সেই প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগামীতে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণের ক্ষেত্রে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল খতিয়ে দেখছে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা ভালো ভাবে নিশ্চিত করার স্বার্থে আমরা চাই ভূমির ডিজিটাল রেকর্ড সিস্টেম, ই-মিউটেশন সিস্টেমসহ তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে। রেমিটেন্স আহরণেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করতে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যদি কোনো রাষ্ট্র, জাতি, উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তা যদি নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তবে তাদেরকে ব্লকচেইন সহ ৫টি অগ্রসরমাণ প্রযুক্তিতে দখল রাখার আহ্বান জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক কায়কোবাদ। এছাড়াও এসময় আরো সংযুক্ত ছিলেন হংকং ব্লক চেইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট লরেন্স মা, বেসিস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস তুলে ধরে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে মোট জিডিপির ১০ শতাংশ চলে আসবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মেধা-জ্ঞান ও মননে প্রযুক্তির সুবাতাস বইছে মন্তব্য করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ‘ব্লকচেইন’ অন্তর্ভূক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বাংলাদেশী রাষ্ট্র দূত আবদুল হান্নান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সিইও মাহফজুল হক, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, আইবিএ পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।