ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে আরো সহজবোধ্য করতে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন টুলস ও সফটওয়্যার তৈরি করছে আইসটি বিভাগ। এর ফলে বাংলা ই-বুক যেমন সহজ হয়েছে। তেমনি গত ১১ মাসে বাংলায় এক কোটির বেশি বিভিন্ন সেবা অনলাইনে দেয়া সম্ভব হয়েছে। একইভাবে দেশের ৮ হাজার সরকারি দপ্তরের ৯০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলায় ই-নথি ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন। দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ বাংলায় সম্পাদিত হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইসিটি বিভাগে এক কোটি ৩০ লাখ ফাইলের কাজ সম্পাদিত হয়েছে বাংলায়।
রবিবার সংসদ কোয়ার্টার থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা জানা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সিংড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ডক্টর আশরাফুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম সামিরুল ইসলাম,সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার (ওসি), সহকারী কমিশনার ভূমি রকিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ,পৌরস মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকমন্ডলী ও পুরস্কার প্রাপ্ত বিজয়ীরা সহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নিজেও বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ল্যাপটপের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাতে অংশ নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত । তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায় আইসিটি বিভাগ থেকে গবেষণার মাধ্যমে বাংলাকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য একটি (গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ) প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাতে যেন আরো বেশি স্বাচ্ছন্দে আমাদের সন্তানেরা সকল বিষয়গুলো জানতে পারে, শিখতে পারে সেটিকে আরো সহজ করে আনা। তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। ইন্টারনেটে বাংলাতে আরও সহজভাবে সকলের কাছে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
