অষ্টম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার লাইফ লাইনে রয়েছে আইসিটি। অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তি আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া সুপারিশগুলো সন্নিবেশ করা হয়েছে। পরিকল্পনার দ্বাদশ পরিচ্ছদে প্রায় ৫৪ পৃষ্ঠা জুড়ে জীবন যাত্রার কোন কোন ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার করা হতে পারে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য এবং বিচারিক কার্যক্রমের লাইফ লাইনে পরিণত হয়েছে আইসিটি। ওই সময়ে আমরা কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেই। যেগুলো আমরা খুব সফল ভাবে শেষ করেছি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে কাজ করেছি। সেখানে ইন্টারনেট অব থিংকস সেন্সর ভিত্তিক ডিভাইস ব্যবহার করে মৎস, কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আশা করছেন, আগামীতে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি, পোল্ট্রির উন্নয়নেও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপকতা বাড়বে। ডিজিটাল ভিলেজ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের পর অল্প দিনের মধ্যেই স্ট্যাবলিশিং কানেক্টিভিটি প্রকল্প একনেকে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়বে। আর এজন্য কৃষি পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিশ্লেষণে বিগ ডেটা ভিত্তি জিও স্পেশাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
সূত্রমতে, আগামী ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই পরিকল্পনার অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা হবে। মার্চ মাসে সংশোধিত খসড়া আর চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা ও এনইসিতে উপস্থাপন করা হবে মে মাসে। পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে জুন মাসে।