নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে ইসি। যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে, সেগুলো হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস।
সোমবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর অসতর্কতায় না ইচ্ছেকৃত এটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে এটা করে থাকে তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এনআইডি সেবা দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি তথ্যভান্ডারও ইসির নিয়ন্ত্রণে। সরকারি-বেসরকারি ১৮২টি প্রতিষ্ঠান ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারা এনআইডির তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিয়ে থাকে। আজ সকালে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। তাদের এ আলোচনা আরও চলবে।
মতবিনিময় শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দেখা যাচ্ছে, যাদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা ইসির অগোচরে অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য দিচ্ছে। যেটা কাম্য নয়। এটা নিয়ন্ত্রণে আনা ও ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার জন্য তাঁরা আলোচনা করছেন। যাতে যার জন্য যতটুকু তথ্য প্রয়োজন, তিনি ততটুকু তথ্য নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, এখন পর্যন্ত তারা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন, যেগুলোর কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। কীভাবে এটি হয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্য ফাঁস বা পাচারের বিষয়গুলো কারিগরি, এগুলো আরও যাচাই–বাছাই করা হবে।