বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পাশাপাশি তরুণদের ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার তাগিদ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্র্যাক আয়োজিত ‘ব্র্যাকাথন’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই তাগাদা দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জের পরিচালক কে এম মোর্শেদ, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি, ডেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এশিয়া ইমার্জিং মার্কেট ও সাউথ এশিয়া কনজিউমার অ্যান্ড স্মোল বিজনেস কে আনোথাই উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ঝুঁকি নেওয়ার জাতি, আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়েছি , বিভিন্ন সমস্যা সমাধানও করেছি। এখন আমাদের উচিত তরুণদের অণুপ্রাণিত করা তাদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো নয়, তাদেরকে ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা যাতে তারা দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে পারে।
আগামী তিন বছরে দেশে আরও অন্তত ২৫ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল ল্যাব ছিল না, কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ ইশতেহার ঘোষণার পর আমরা সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়া ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আইসিটি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার আরও ২৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবে।
ইন্টারনেট সেবা সবার কাছে পৌছে দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক চাহিদার মত, আগে মানুষের মৌলিক চাহিদা ছিল পাঁচটি, কিন্তু বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্তর্গত হয়েছে। তাই ইন্টারনেট সেবাকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দিতে পর্যাক্রমে প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট সেবা পৌছে দিতে সরকার কাজ করছে।
পাঠাও, উবার ও সহজের মতো সেবা সংস্থাগুলো বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণেই এ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশে ভালোভাবে কাজ করছে। এতে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি ই-কমার্স কার্যক্রম দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। আগামী ১০ বছরে আরও নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
অনুষ্ঠানে পাঁচটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সামাজিক সমস্যা সমাধানের ধারণা দিয়ে বিজয়ী হয় তারা। তাদের পুরস্কার হিসেবে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ, ডেলের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ, গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে ইনকিউবেটর সেন্টারে জায়গা দেওয়া হবে।