বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশে উৎপাদন পণ্য ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, প্রস্তুতকারক এবং উৎপাদকদের কাছে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে অনলাইন মার্কেট প্লেস। স্বল্প বিনিয়োগে অ্যামাজনের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে নিজেদের পণ্যের প্রসার ঘটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশের গার্মেন্ট, ফুটওয়্যার, লেদার, মেডিসিন সহ বেশ খাতের ব্যবসায়ীরা।
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থা পাইওনিয়ারের উদ্যোগে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘দ্যা পাইওনিয়ার ফোরাম: সেলিং গ্লোবালি উইথ অ্যামাজন’ শীর্ষক সম্মেলনে এমন আগ্রহই উঠে এসেছে বক্তারদের কন্ঠে। শনিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্য ৭টা পর্যন্ত চলমান এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন অ্যামাজন এবং অন্যান্য ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।
পাইওনিয়ার আয়োজিত এই সম্মেলনে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা অংশ নেন।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন পাইওয়ানিয়ার বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসান, পাইওনিয়ারের ডিরেক্ট সেলস (ই- কমার্স) বিভাগের প্রধান অমিত আরোরা, অ্যামাজনের সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আংশুমান হার্জাই, ই-কমার্স সাইট স্টেলকরের প্রতিষ্ঠাতা ভারত মণ্ডত, একস প্রো এবং টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান।
সম্মেলন বিষয়ে নাহিদ হাসান বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে অ্যামাজন কর্মকর্তাদের সাথে দেশীয় উদ্যোক্তারা সরাসরি যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিং এর সুযোগ পেয়েছেন। সম্মেলনে অ্যামাজনের প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারকদের অমিত সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকের কাছেই সেভাবে জানা ছিলো না। এই সম্মেলনের মাধ্যমে অ্যামাজনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয়দের একটি যোগাযোগ সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। সম্মেলনে অ্যামাজন তাদের সেবাগুলো তুলে ধরেছে।
সম্মেলনে অ্যামাজনের সাথে ব্যবসার বিভিন্ন দিক ও সম্ভাবনা তুলে ধরে আমাজনের সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আংশুমান হার্জাই বলেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের পণ্য আছে যেগুলোর বিশ্ব বাজারে ভাল চাহিদা আছে। আমরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের টুলসের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছি- বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি কাপড়, চামড়াজাত পণ্যসহ হেলথ, কসমেটিক পণ্য, খাবারের বিপুল চাহিদা রয়েছে। পণ্যের ব্যবসায়ীরা অ্যামাজনের সাহায্য নিয়ে নিজেদের ব্যবসা আরও বড় করার সুযোগ পাবেন। আপনার একটি পণ্য রপ্তানি করতে হলে আপনার গোডাউন থাকা লাগে, আর কেউ খুচরা বিক্রি করতে চাইলে তার খরচ অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এখন অ্যামাজ চলে আসায় এই সমস্যা গুলো থাকবে না এবং গ্লোবাল সেলারদের সাথে একটা ভালো নেটওয়ার্ক তৈরিরও সুযোগ তৈরি হবে। আর বাল্ক হিসেবে বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানির সুযোগ ও তৈরি হয় অ্যামাজনে। এখন শুধু অ্যামাজনে একটি আইডি, ব্যাংক একাউন্ট, ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলেই বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী হতে পারবেন একজন।