দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ৫৩ভাগ নারী। সেই তুলনায় এখনো মেয়েরা প্রোগ্রামিংয়ে কম। তবে তাদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসিএম- ইন্টারন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কননেস্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, প্রো-ভিসি জিইউ আহসান এবং সহযোগী অধ্যাপক ড: সাজ্জাত হোসেন শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং একটি সৃজনশীল কাজ। প্রোগ্রামিংয়ে দেশের মেয়েরা যত বেশী এগিয়ে আসবে তাদের হাত ধরে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগামী প্রজন্ম ততবেশী তৈরি হবে – সমৃদ্ধ হবে।
ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ রোবটিক, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেইনের মত প্রযুক্তির বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রোগ্রামিং কার্যকর একটি হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
আশির দশকে দেশে কম্পিউটারে বাংলা হরফের এই প্রবর্তক বলেন, প্রোগ্রামিং কঠিন কোন কাজ নয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি যাই আসুক না কেন, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকার জন্য প্রোগ্রামিং প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দেশে প্রোগ্রামিং উৎসাহিত করতে গত এক বছর আগে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার যাত্রা আমরা শুরু করেছি।
দেশে নারী শিক্ষার অগ্রগতি চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষা বিস্তারে এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ৫৩ভাগ নারী। মেয়েরা প্রোগ্রামিংয়ে কম, তবে তাদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে, সরকার তা সম্প্রসারিত করতে চায় উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি তথা তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে গত দশ বছরে বাংলাদেশের সফলতা বিশ্বে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর ও অর্জনে বাংলাদেশ যা করেছে অনেক উন্নত দেশ তা কল্পনাও করতে পারেনি।
প্রতিযোগিতায় দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন।