যার উপর ভিত্তি করে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেই এমআরএনএ প্রযুক্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নতুন করে আরো পেতে যাওয়া আরো ৫টি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত হু’র প্রশিক্ষণ ও স্থানান্তর কেন্দ্র থেকে এই সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থার মহাসচিব টেডরস গেব্রিয়াসাস আধানম।
টুইটারে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে করোনার টিকা তৈরির স্বপ্ন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
টেডরস জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২০টি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্র থেকে এমআরএনএ টিকা তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো যাতে নিজেরাই করোনার টিকা উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় আরেকটি এমআরএনএ প্রযুক্তি স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। নতুন এই কেন্দ্রটি টিকা, ইনসুলিন, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মতো পণ্য তৈরি করতে ইচ্ছুক দেশগুলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
Five more countries will also receive support from the global mRNA hub in #SouthAfrica🇿🇦:#Bangladesh🇧🇩#Indonesia🇮🇩#Pakistan🇵🇰#Serbia🇷🇸#Vietnam🇻🇳
These countries were vetted by a group of experts & proved that they had the capacity to absorb the technology
— World Health Organization (WHO) (@WHO) February 23, 2022
এ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় জৈবপ্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে প্রথম জৈবপ্রযুক্তি কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকেও সহায়তা প্রাপ্তদের তালিকায় রাখার কথা জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে টিকা, ইনসুলিন, ক্লোন অ্যান্টিবডি তৈরি ও ক্যান্সারের চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও সার্বিয়াকেও দক্ষিণ আফ্রিকার ওই কেন্দ্র থেকে সহায়তা পাওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও বলছে, এই দেশগুলোর এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারার সামর্থ্য রয়েছে বলে গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
এর আগে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দক্ষিণ আফ্রিকার এই কেন্দ্র থেকে প্রযুক্তি পাওয়ার সুযোগ পায়। দেশটির কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে এখান থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছে।