করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে, এ সময়ে অনলাইনে/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে স্কুল বন্ধ থাকলেও পাঠদান চলবে যথারীতি অনলাইনে।
একইভাবে দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সব ধরনের বিচারকাজ পরিচালনা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সব ধরনের মামলা করা যাবে। বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য নেবেন। অবশ্য ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ পরিচালনার সময় গাউন পরার বাধ্যবাধকতা থাকছে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ ভার্চুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে।
অপরদিকে শনিবার (২২ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্বে) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা ১১ দফা নির্দেশনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস কার্যক্রম যথারীতি চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।