রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে ২০২২ ‘আইসিটি পণ্য ও সেবা’-কে ২০২২ সালের জাতীয়ভাবে ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সরকার বাণিজ্য কূটনীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রত্যেকটি দূতাবাসকে সেভাবেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেয়া হলেও এর প্রস্তুতি আমরা ১৯৯৬ সাল থেকেই নিয়েছিলাম। ওইসময়েই ব্যাপকভাবে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমরা। জাতির পিতার নীতিমালা অনুসরণ করে আমরা ব্যববসায় বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত করে দেই। টেলিভিশন, হেলিকপ্টার নির্মাণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেই। শুধু তাই নয়, মেবাইল ফোন বেসরকারি খাতে আমরা উন্মুক্ত করে দেই। আমাদের দেশটা যেনো শিল্পে এগিয়ে যেতে পারে এজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।
পণ্যভিত্তিক রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবছর একটি পণকে বর্ষপণ্য অর্থাৎ ‘প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য সেবাকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সময় কিন্তু এখন আমাদের, সময় বাংলাদেশের; একথাটি মনে রাখতে হবে এবং সেই সুযোগটি আমাদের নিতে হবে।’
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন , আজকে প্রযুক্তি যুগ। বিশ্ব চতুর্থ শিল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, রপ্তানি পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখতে গবেষণার ওপর গুরুত্বারেপার করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালেও আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। তাছাড়া আমাদের আইসিটি তথা ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিতেও আমরা কিন্তু ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানিতে সক্ষম হয়েছি। সময় কিন্তু এখন আমাদের, সময় বাংলাদেশের; একথাটি মনে রাখতে হবে এবং সেই সুযোগটি আমাদের নিতে হবে। এবারে আমি ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য সেবাকে জাতীয়ভাবে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি’।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি এ এইচ এম আহসান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সিনিয়র কর্মকর্তারা।