অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আর এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ইন্টারনেট।
৭ অক্টোবর, আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত ‘ডাটাবার্ড লঞ্চপ্যাড ২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য প্রথম যে শর্ত সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস। অ্যাক্সেস টু ইন্টারনেটকে বলা হচ্ছে এখন ৬ষ্ঠ মৌলিক অধিকার। অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে পবিত্র সংবিধানে ৫টি মৌলিক চাহিদাকে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন; অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এই পাঁচটি মৌলিক অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য এখন ৬ষ্ঠ প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, সেটি হচ্ছে অ্যাক্সেস টু ইন্টারনেট।”
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী চাকরির পেছনে দৌঁড়ানো বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “স্টার্টআপরা যেন সাহস নিয়ে এগিয়ে আসে। আমরা কিন্তু ঐতিহাসিকভাবেই সাহসি জাতি এবং আমরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। এবং ঝুঁকি নেয়ার সাহস আমাদের তরুণ প্রজন্মের আছে। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজন সাহসিকতার সঙ্গে ঝুঁকি নেয়া। আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য, একটি স্টার্টআপ কালচার গড়ে তোলার জন্য যেসকল কম্পোনেন্টগুলো দরকার সেগুলো কিন্তু গত ১২ বছরে ধাপে ধাপে তৈরি করেছেন।”
অনুষ্ঠানে ডাটাবার্ড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কাশেফ রহমান জানান, শেয়ারট্রিপ, রিদ্মিক কিবোর্ডের পর ডাটাবার্ড ম্যাসেজিং অ্যাপ নিয়ে আসতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “বিশ্বে বাংলা ভাষাটি একটি কঠিন ভাষা। বাংলা ভাষাটিকে সহজে টাইপ করার প্রক্রিয়াতে আনার কারণে আমাদের সফলতাটি এসেছে। এর বাইরে যদি আমরা চিন্তা করি রিদ্মিকের অন্যান্য অ্যাসেট নিয়ে নিজেদের ইকোসিস্টেম বিল্ড (তৈরি) করার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে ম্যাসেঞ্জার লঞ্চ করবো। আমাদের এখনো বেটা ভার্সন চলছে। চলতি বছরের মধ্যে এই ম্যাসেঞ্জার লঞ্চ লরা হবে।”
অনুষ্ঠানে প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের আসরে ৩৫০ এর বেশি উদ্ভাবনী আইডিয়া এসেছে। অংশ নিয়েছেন এক হাজারের বেশি উদ্যোক্তা, এর মধ্যে নারী উদ্যোক্তা ছিলেন ২৩ জন। ৩৫০টি উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে শিক্ষার্থী ট্রাক থেকে ৫ জন এবং প্রোফেশনাল ট্রাক থেকে ৫ জনকে বাছাই করা হয়।