করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ১৪ দিনের কোয়ারিন্টিনে যাচ্ছে দেশ। সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ে যোগাযোগের জন্য অনলাইন ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। বলা হচ্ছে, এবারের বিধিনিষেধ গতবারের চেয়েও কঠোর হবে।
এমন পরিস্থিতিতে খোদ সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে দাফতরিক কাজগুলো ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেল্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) করার নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা চালু থাকবে। বন্ধ থাকবে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী সব প্রতিষ্ঠান। জরুরি পরিসেবা হিসেবে টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি) সেবা কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়ে বিধিনিষেধ কার্যকরে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু অফিস, কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গিয়েছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, তারা যেন ৫ তারিখের পরেই আসেন। তাদের তো (বিধিনিষেধ চলাকালে) আসার প্রয়োজন নেই। সংক্রমণ কমানোর জন্য অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে। ঘরে থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে হলে ডাবল মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এইটা যদি ১৪ দিনের জন্য করতে পারি তাহলে সংক্রমণ কমবে; না হলে বাড়তে থাকবে, হাসপাতালে রোগীর যে চাপ সেই চাপ বাসা-বাড়িতে আসবে। অতএব সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’