টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর আজ রোববার (৩১ মে) থেকে খুলেছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অফিসে প্রবেশ ও কাজের ক্ষেত্রে মাস্ক, গ্লাভস বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছাড়াও কোনো কোনো অফিসের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল। ব্যবহার করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ডিজিটাল যন্ত্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই নানান নির্দেশনাও দিয়েছে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কিন্তু ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক খালি রেখে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার না করা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একটি গণপরিবহনে দুই সিটের মধ্যে দূরত্ব দুই ফিটের বেশি নয়। তাছাড়া যাত্রীদের নিয়মনীতি মানার প্রতি আগ্রহ দেখা যায়নি। তাই ৫০ শতাংশ সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্তে আশ্বস্তির পরিবর্তে আমরা এখন অস্বস্তিতে আছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই জিপিআরএস প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মোবাইল ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে করোনারোগী সনাক্তকরণ করা শুরু হয়েছে। তাই যদি গণপরিবহনগুলোতে যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই ট্র্যাকার চালু করা যায় এবং রোগীদের সনাক্ত করা যায় তবেই নিরাপদ হওয়া যাবে। তা না হলে করোনা মহামারি আকার ধারণ করবে।
এতো দিনেও বিআরটিএ প্রযুক্তি বান্ধব না হওয়া নিয়ে খেদ প্রকাশ করে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবিলম্বে ট্র্যাকার চালু করে তাদেরকে প্রযুক্তিবান্ধব হওয়া উচিত।