কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারিন্টেনে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দুই কর্মকর্তা। বিষয়টি আইসিটি টাওয়ারে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রান্তিক মানুষের কাছে ঈদ বেনাসের অর্থ পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের উন্নয়নে নিয়মিত অফিস করছেন এই বিভাগের কর্মকর্তারা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আইসিটি অধিদপ্তরের অন্যজন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের একটি প্রকল্পের দায়িত্ব রয়েছেন। এদের মধ্যে আইসিটি অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের যে কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন তার স্ত্রীর মধ্যেও একই লক্ষণ দেখা দেয়ায় মঙ্গলবার তারও পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে।
তবে নীতিগত কারণে ডিজিবাংলা তাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না।
সূত্রমতে, ইতোমধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ২৬ জনের তালিকা করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা করাচ্ছেন।
তবে আইইডিসিআর’র পক্ষ থেকে আইসিটি টাওয়ারে যারা কাজ করছেন যতদ্রুত সম্ভব তাদের সবাইকেই করোনা পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারাণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরশাদ হোসেন ডিজিবাংলা-কে বলেন, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং অন্যজন যিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, অফিসে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন এমন ২৬ জনের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ১৬ মে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে (জুনাইদ আহমেদ পলক) নিয়ে একটি জরুরি সভা আয়োজন করা হয়েছে। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এক প্রকল্প পরিচালক করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম দেব। তিনি ডিজিবাংলাকে জানান, আমি যতদূর জানি তার ভাই আক্রান্ত হয়েছে। তার পরীক্ষা করানো হয়নি। খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে শুরুতে আইসিটি টাওয়ারে কর্মরত একজন নিরাপত্তাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভবনের প্রবেশমুখেই হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার এবং ডিজইনফেকশন প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।