মাস তিনেক ধরে বাজারে পেঁয়াজের ঝাজ না কমলেও অনলাইনে কমেছে। আর এই উদ্যোগটা নিয়েছে দেশীয় গ্রোসারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডাল ডট কম। এই দামে পেঁয়াজ কিনতে সাইটটিতে হিট যেমন বেড়েছে তেমনি দেশের বাইরে থেকে বায়না দেয়ারও পরিমাণ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে বাজারেও আস্তে আস্তে পেঁয়াজের ঝাজ কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। পেঁয়াজের দাম বাজারেও দুই শ’ টাকার নিচে নেমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ই-কমার্স টুলস ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, বাজারে ভারসাম্য আনায়ন ও কৃত্রিম সঙ্কট আনতে ই-কমার্স টুলসের যুগপৎ ব্যবহার নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ই-ক্যাব। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ডিজিটাল কমার্স সেল গঠন করা হচ্ছে। এই সেল ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ‘বাজার মূল্য নির্ধারণ’ এবং দ্রুত ও সহজে আমদানী-রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘ক্রস বর্ডার ই-কমার্স’ উন্নয়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তখন ভোক্তা ন্যায্য মূল্যে দোরগেড়ায় তার নিত্য পণ্য পাবে। এ জন্য টিসিবি’র ট্রাকের পেছনে ম্যানুয়ালি দীর্ঘসারিতে দাঁড়িয়ে কর্মঘণ্টা ব্যয় করতে হবে না।
সূত্রমতে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু ঢাকার মধ্যেই তাদের সেবা সীমিত থাকলেও দেড় দিনের মধ্যে ২০ টন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালডাল ডট কমের হেড অব গ্রোথ ওমর শরীফ ইবনে হাই।
তিনি জানান, বাজার ক্রাইসস মেটাতেই তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। লবন নিয়ে কারসাজির পর থেকেই তারা মূলতঃ এই উদ্যোগ নেয়া শুরু করেন। প্রথমে ৩ ডিসেম্বর ৯৯ টাকায়, ৫ ডিসেম্বর ৮৯ টাকায়, ৭ ডিসেম্বর ৭৯ টাকায়, ৯ ডিসেম্বর ৬৯ টাকায় এবং এরপর ১০ ডিসেম্বর ৬৮ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করে। বিশেষ দামে বিক্রি শুরু করার পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই তাদের অনলাইন শপ থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে ৭ শতাংশই বায়না করেছেন প্রবাসীরা ঢাকায় বসবাসরত তাদের পরিবারের জন্য। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে এই বায়না হওয়ার কথা জানান ওমর শরীফ।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহকরা যেহেতু দীর্ঘক্ষণ টিসিবি’র ট্রাকের লাইনে দাঁড়াতে পারবেন না, সে কারণেই অনলাইনে ওই একই দামে আমরা এবার পেঁয়াজ বিক্রি করছি। এতে খুবই ভালো লাগছে। কেননা আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ই-শপগুলোর চেয়েও অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি। বিশেষ করে, অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাজারের কৃত্রিম সঙ্কট মোকাবেলা করা গেলেই আমরা খুশি।