গাড়ির গতিবিধি নজরদারি সেবা বা ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) সেবা দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে দেশীয় প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইনফোলিংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই সেবা পরিচালনার অনুমতি দেয়।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইনফোলিংক ট্র্যাকার নামের এই সার্ভিস প্লাটফরম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির অবস্থান বের করার পাশাপাশি গাড়ির এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব নিরূপণ, ট্রিপ রিপোর্ট এবং ওভারস্পিড রিপোর্টগুলোও সরবরাহ করবে গাড়ির মালিককে।
নিজেদের ডিভাইস এবং প্লাটফরম সম্পর্কে ইনফোলিংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিফ আহমেদ বলেন, আমরা পার্সোনাল ট্র্যাকার আর প্লাগ এন্ড প্লে ডিভাইসগুলো নিয়ে বেশি ফোকাস করছি। আমাদের মনে হয় যেহেতু এই ট্র্যাকিং টেকনোলজি জিনিসটাই আমাদের দেশে নতুন, এখানে ইজি সল্যুশন দিয়ে শুরু করা ভালো। তাছাড়াও অনেকেই তাদের শখের গাড়ির তার কাটা-কাটির ঝামেলাতে যেতে চায় না। তাই আমরা সহজেই ব্যবহারযোগ্য প্লাগ এন্ড প্লে ডিভাইসের দিকে বেশি মনযোগী। আমাদের প্লাটফরম এর সাহায্যে গাড়ির পাশাপাশি এন্ডরোয়েড মোবাইল এর সাহায্যে যে কোন কোম্পানি চাইলে খুব কম খরচে তাদের কর্মীদের মনিটর করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের আমদানীকৃত ডিভাইসগুলোর মান নিয়ন্ত্রনের জন্য নিজস্ব আরএন্ডডি এবং কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স টিম আছে। আমরা প্রতিটা ডিভাইস কিউএ পাস করেই ডেলিভারি করবো। এছাড়াও কোন সমস্যা খুজে পেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিভাইসটি রিপ্লেস করার ব্যবস্থাও থাকবে।
সাকিফ আহমেদ আরো বলেন, ভিটিএস ব্যবসাটা পুরোটাই গ্রাহক সেবা দাতা ব্যবসা। তাই গ্রাহক সন্তুষ্টি ঠিক রাখার জন্য আমাদের ২৪/৭ সেবা পাবেন গ্রাহকরা ৩৬৫ দিনই। যেহেতু ইতিমধ্যেই আমাদের আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে তাই আমরা সারাবছর এইধরনের গ্রাহক সেবা দিয়ে অভ্যস্ত। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব কল সেন্টার রয়েছে যেখান থেকে আমরা ২৪ ঘন্টাই ফোনের মাধ্যমে আমাদের সেবা নিশ্চিত করছি। আমরা মনে করি যে, আমরা গ্রাহকসেবায় অনেক বেশি মনযোগী। কার কাছ থেকে গ্রাহক সেবা নিবে সেটা তার একেবারেই নিজস্ব সিদ্ধান্ত, কিন্ত আমরা মনে করি প্রতিটা গ্রাহকের পূর্ণ সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকেও শতভাগ চেষ্টা থাকবে।
প্রসঙ্গত, ইনফোলিংক লিমিটেড ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এবছরেই তাদের আইপি টিভি সেবা চালুর অনুমোদন পেয়েছে।