সরকারকে প্রদেয় তথ্য প্রদান যাচাইয়ে স্থানীয় একটি ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এর পাবালিক পলিসি অ্যাডভাইজরি বোর্ড (ভারত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) সদস্য আঁখি দাস। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে স্থানীয় টিমের সঙ্গে ফেসবুক কাজ করবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯ অনুষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে আয়োজিত সেশনে সোমবার (১১ নভেম্বর) তিনি এই প্রস্তাব করেন।
অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সামির সারণের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ অ্যান্ড এআই রিসার্স কোলাবোরেটিভ’র প্রকল্প প্রধান আমান দিপ এস গিল, ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেসি প্রফেসনালস এর এশিয়া অ্যাডভাইজরি বোর্ড সদস্য ড্যামিয়ান মাপা অংশ নেন।
এসময় পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের কাছে তথ্য চাইলে তারা কোর্টের আদেশ আছে কিনা, জানতে চায়। কিন্তু অপরাধ ঠেকানোর সময়ে কোর্টের কাগজপত্র আমাদের কাছে থাকে না। কারণ, এটি গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চাওয়া হয়।
এর জবাবে ফেসবুকের কর্মকর্তা আঁখি দাস বলেন, কোনও তথ্য দেওয়ার আগে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হয়। যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের কোন ধারা বলে এই তথ্য চাইছে বা ওই বাহিনীর এই তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে কিনা। এগুলো জানার পরেই আমরা তথ্য সরবরাহ করে থাকি।
ভোলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোলা ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশ থেকে জানার পরপরই গঠনমূলক উদ্যোগ নিই এবং একটি সমাধান বের করি। কিন্তু এ বিষয়টি টেকসই করতে গেলে আমাদের উভয়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি প্রস্তাব করেন, এটি খুব ভালো হবে যদি একটি ফোরাম থাকে, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফেসবুকের প্রতিনিধি উভয়েই প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
আঁখি দাস বলেন, ‘আমাদের টিমের সঙ্গে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবসময়ে সংলাপ হচ্ছে।’
আগামী বুধবার (১৩ নভেম্বর) শেষ হবে এই আলোচনা।