মীর মুগ্ধ একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ছিলেন। তিনি যুক্ত ছিলেন অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভারে সক্রিয় ছিলেন। ফাইভারে তার অ্যাকাউন্টে কাজে খুশি হয়ে এক হাজার ৮৮ জন ক্লায়েন্ট রিভিউ দিয়েছেন। তার ওভার অল রেটিং ৫। সেলার কমিউনিকেশন লেভেল রেটিংও ৫। রিকমেন্ড টু অ্যা ফ্রেন্ড এবং সার্ভিস অ্যাজ ডেসক্রাইব রেটিংও দেখা যাচ্ছে ৫।
জীবনের সুসময়েও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে পানির বোতল আর বিস্কুট নিয়ে শরিক হয়েছিলেন তিনি। মুগ্ধ’র মৃত্যুতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শোক বার্তা প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভার।
শোকবার্তায় বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা আমাদের ফাইভার পরিবারের ক্ষতির কথা জানলাম। বাবা-মা ও দুই ভাইকে রেখে গত সপ্তাহে মারা গেছে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। মীর একজন প্রতিভাবান মার্কেটার ছিলেন, যিনি এসইও এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দক্ষতা দিয়ে ফাইভারে একটি সফল ব্যবসা তৈরি করেছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ছিলেন একজন আগ্রহী ভ্রমণপিপাসু, একজন প্রতিভাবান ফুটবলার, একজন বাংলাদেশি স্কাউট এবং একজন সত্যিকারের মানবতাবাদী।
ফাইভারের পোস্টে আরও লেখা হয়েছে—‘মীরকে মিস করা হবে। তার পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়, গায়ক, সংগঠক হিসেবে ক্যাম্পাসে ছিলেন সুপরিচিত। গণিতে স্নাতক শেষ করে গত মার্চ থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) এমবিএ করছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, মৃত্যুর মাত্র ১৫ মিনিট আগেও টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন একটি সড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানি ও বিস্কুট সরবরাহ করছিলেন মুগ্ধ।
এই তরুণকে ‘ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটির হিরো’ বলে অভিহিত করেছেন ফাইভারের এশিয়া অঞ্চলের বাংলাদেশ ফাইভআর কমিউনিটির প্রধান মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।