বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ গ্র্যান্ট নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে যে ৭৬০ জন পিএইচডি করার বিদেশে গেছেন তাদের ফিরিয়ে এনে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গবেষণায় নিয়োজিত করার জন্য মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। একইসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার কমাতে রাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন এই সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করতে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেনন, ‘এমন কোনো কিছু আবিষ্কার করা উচিত, যাতে করে রাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম এ প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকবে। আর এটা করা না হলে আমার মনে হয় না আর বেশি দিন আমাদের এই প্রজন্ম প্রতিবন্ধী না হয়ে থাকতে পারবে।’
শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে দুই মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই আহ্বান জানান তিনি।
মোবাইল ফোনের সংযোগ নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, কোনো একটা অ্যাপস সৃষ্টি করে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ারগুলো নিষ্ক্রিয় করা যায় কি না? অথবা সেই মোবাইল টাওয়ার যাতে ফ্রিল্যান্সিং বা বিদেশি মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার না হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। না হয় আমার রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, ১০ বছর থেকে শুরু করে সবার একটাই কথা কানে শোঁ শোঁ করে, ভোঁ ভোঁ করে। কানে শুনি না, লেখাপড়ায় মন দিতে পারি না। তাহলে আমরা কোথায় যাচ্ছি।
বিল গেটস এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, উনি ওনার সন্তানকে ১৬ বছরের আগে মোবাইল ফোন টাচ করতে দেননি। মার্টিন কুপার এক বছর আগে বিবিসি-কে বলেছেন, আমি যদি জানতাম একজন ব্যক্তি ৫-৬ ঘণ্টা এই মোবাইলফোনের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকবে তাহলে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করা আমার জন্য নির্মম ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। একইসঙ্গে নোবেল জয়ী সাংবাদিক হওয়ার্ড এরিক জ্যাকবসন বলেছেন, আগামী ২০ বছর পরে এই গ্লোবাল পপুলেশন লেখাপড়ায় প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে, তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারবে না।