ফাইভজি’র জন্য স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ৫৯ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বার্ষিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
’টুওয়ার্ডস এ ডিজিটাল কমনওয়েলথ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, উন্নয়নের অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ গুলোর কাছে বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে সফল একটি দেশের নাম।
তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে ১৫টি সেশনের একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে ৫জি এবং সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অভিজ্ঞ নেতৃত্বের সফল অর্জন। র্এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের ফলে আমরা কৃষি প্রধান দেশ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসে ডিজিটাল বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছি।
বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ফোরজি চালু করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫জির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়েছে। খুব দ্রুত ৫জি লাইসেন্স দিতে ৫জি পলিসি ও ইকোসিস্টেম তৈরী করা হচ্ছে।
এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ্ এম.পি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, সিটিও এর চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক ফিজির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থ, গণ উদ্যোক্তা, জনসেবা, যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী এবং দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আইয়াজ সৈয়দ খাইয়ুম ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন-আইটিউর উপ মহাসচিব মিঃ মেলকম জনসন, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক এবং কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল বক্তব্য রাখেন।
পাঁচদিনব্যাপী সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ ছাড়াও অন্যান্য দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি প্রায় তিনশ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, এই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একদিকে যেমন নিজেদের প্রযুক্তি সম্ভবনা তুলে ধরতে পারবে, অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কও জেরদার হবে।