গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়েটার কাছে সরকারের পাওনা আদায়ে বিটিআরসি’র সঙ্গে অপারেটরটির বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি-কে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান জানানো হয়েছিলো। তখন বিষয়টি উপক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি এই দাবির জন্য তাকে গ্রামীণফোন-রবি’র উমেদার বলা হয়েছিলো। এখন আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে আলোচনার মাধ্যমেই বিদ্যমান দ্বন্দ্বের উদ্যোগ নেয়ায় এবার কে উমেদারি করছে তা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জিপি-রবি’র পাওনা আদায়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি তোলেন তিনি।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল মাননীয় অর্থমন্ত্রী গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায় নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে দন্দ্ব নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ইতিবাচক হলেও বিটিআরসির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর দেয়া সিদ্ধান্ত যদি বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বা টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রদান করতেন তাহলে এটি ছিল শোভনীয়। স্বাধীন একটি কমিশনের উপর এভাবে হস্তক্ষেপ এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর বাইরে গিয়ে দেয় বিটিআরসির জন্য ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে না। এতে করে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রক কমিশনের নেয়া কোন সিদ্ধান্ত কোন অপারেটর মানবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ আছে। ব্যান্ডউইথ কমানোর পর চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে গ্রাহকদের সমস্যার কথাটি তুলে ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা আরবিটেশন করার নিয়ম না থাকায় আমাদের দাবী প্রত্যাখান করেছিলেন। উল্টো সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও আমাকে গ্রামীণফোন-রবির উমেদারি করছি বলে দোষারোপ করেছিলেন। আমাদের এখন প্রশ্ন- প্রকৃত উমেদার তাহলে কে? সেই রহস্য উন্মোচন করা হোক।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি আরো বলেন, জাতীয় যেকোন সঙ্কটে সরকার হস্তক্ষেপ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষা ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ২০০১ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে ‘স্বাধীন কমিশন’ বলা হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের পূর্বেই আপত্তি ছিল। কারণ এই কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের সদস্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়। কিন্তু স্বাধীন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিযুক্ত হওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক। আবার ট্যারিফ নির্ধারণে সরকার ও কোম্পানীগুলোর প্রস্তাব কমিশনে নিষ্পত্তি করার কথা। অথচ এক্ষেত্রে ট্যারিফ নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয় আর প্রস্তাব করে কমিশন।