টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব থেকে ডাক ও টেলিযোগ বিভাগ থেকে মোস্তাফা জব্বার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ইয়াফেস ওসমানে পদত্যাগ পত্রগৃহীত করেছে সরকার। এই দুই মন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করবেন।
বর্তমান দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে টেকনোক্র্যাট কোটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীরও পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর দুইজন মন্ত্রীর দায়িত্ব বণ্টনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায়। নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত গত ১৯ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে টেকনোক্র্যাট কোটার দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেন। ওইদিন তিন উপদেষ্টারাও পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর পরদিন সোমবার ২০ নভেম্বর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের বিষয়ে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি শিল্প ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এ বিষয়ে ওই কার্যলয় থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার পদটি অবৈতনিক হওয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয় পদত্যাগের আওতায় পড়ছেন না। তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তারেক সিদ্দিকী ও সালমান এফ রহমান। তাই এদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে।