ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী। এই নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ‘ভার্মি কম্পোস্ট সার’ উৎপাদন করেন ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্র সাকিল হোসেন। সেখানে ৫ শতাংশ জয়গায় গড়ে তুলেন জৈব সার উৎপাদন কারখানা। পরিবারের অস্বচ্ছলতা দূর করতে ২০১৮ সালে ফেসবুকে ‘শখের ছাদ বাগান শাকিল’ পেজ খুলে শুরু করেন নিজের উৎপাদিত সার বিক্রি। সেখান থেকে এখন খরচ বাদে মাসিক আয় হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
সাকিল ডিজিবাংলা-কে বলেন, নিজেই গোবর সংগ্রহ, হাউজ বা চাড়িতে দেওয়া, কম্পোস্ট সার তৈরি, সার প্যাকেজিং, কেঁচো লালন-পালন এবং বাজারজাত করছেন তিনি। প্রতি মাসে তার কারখানায় ২ হাজার কেজির বেশি উন্নত মানের কেঁচো ও কম্পোষ্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে। এসব সার ডিজিটাল ছাদ বাগান (digitalsad.bagan) ও শখের ছাদ বাগান নামে দুটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ক্রেতারা তার সার কিনে নিচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্রেতাই ঢাকায়। তারা ফেসবুক পেজ থেকে অর্ডার করে বিকাশে মূল্য পরিশোধ করেন। তিনি এগুলো প্যাকেট করে কুরিয়ারে তা পৌঁছে দেন।
সাকিল বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করি। এর সঙ্গে কোকো ডাস্ট ও বেল দোআঁশ মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জৈ্ব মাটি তৈরি করি। যা বিশেষ করে ছাদ বাগানের জন্য উপকারী।’
তিনি জানান, এখন ১০টি বড় হাউজ ও শতাধিক মাটির চাড়িতে মাসে ২ হাজার কেজি করে সার উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার চাপলি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাকিল হোসেন। বাবার ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে তেমন আয় না হওয়ায় পড়াশোনার খরচ চালাতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেছেন কম্পোস্ট সারের কারখানা। এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন নিজের বোনকেও। সম্প্রতি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে ১০টি চেম্বার করে দেয়া হয়েছে। সাকিল কেঁচো আর কম্পোষ্ট সারের পাশাপাশি নারিকেলের কেকোডাস্ট প্যাকেট করে বাজারজাত করছেন। আর, এখন তার সংগ্রহে থাকা ১শ কেজি কেঁচোর আনুমানিক দাম দেড় লাখ টাকা।