আগামী দু মাসের মধ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। নভেম্বর থেকেই উদ্যোক্তাদের বিনা জামানতে ১ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে শুরু করবে সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন এই সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলম জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আগামী দু মাসের মধ্যে নতুন কোম্পানি গঠন সম্ভব হবে। কোম্পানি গঠনের পর থেকেই পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করবেন তারা। এক্ষেত্রে যেকোন ধরনের নতুন আইডিয়াকে স্বাগত জানাবেন তারা।
তবে কার্যক্রম শুরু আগেই এই উদ্যোগ সফল করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন সেলিম বলেন, সফল উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে প্রকল্পের সম্ভব্যতা যাচাই বাছাই করে অর্থ ছাড় দিতে হবে। আইডিয়ার বাণিজ্যিক সফলতা নিশ্চিত করতে হলে আগে ভাগেই এর ব্রেক ইভেন সময় নির্ধারণ করতে হবে। বিনিয়োগের পর এই অর্থ ব্যায়ের বিষয়েও দেখ ভাল করতে হবে। নিয়মিত অডিটের ওপর রাখা যেতে পারে। আর কেবল টেকনলোজি নয়, কাওরান বাজারের মুদি দোকান নিয়েও যদি কোনো আইডিয়া থাকে সেগুলোকেও এর অধীনে আনতে হবে।
জানাগেছে, ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে ২০০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এ নিয়ে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় গত ২ বছর ধরে প্রযুক্তি নির্ভর স্টার্টআপ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৯৬ টি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। অপরদিকে চলতি বছরের বাজেটে স্টার্টআপ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। সেই অর্থ থেকেই এই কোম্পানির মাধ্যমে এবার ব্যক্তিই নয়; প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও এই ঋণ সহায়তা মিলবে। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন এ কোম্পানির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের এক হাজার স্টার্টআপের পাশে দাঁড়াবেন তারা।